নিঃসঙ্গতা
একদিন ঘুম ভাঙতেই ঈশ্বর আমাকে বললেনঃ
পৃথিবীতে যাও। আমি আসলাম।
এসে দেখি- বৃক্ষগুলো মাটিতে দাঁড়িয়ে...
ঈশ্বর বললেনঃ পৃথিবীর এটাই নিয়ম।
আমি বললামঃ তাহলে মানুষেরও কেন
শিকড় দিলে না, প্রভু?
সঙ্গে সঙ্গে আমার পা ফুঁড়ে শিকড় গজালো।
তাবু থেকে লোকগুলো বেড়িয়ে এসে আমার
পায়ের দিকে তাকালো
কেউ হা-হুতাশ করলো, কেউ বা বুর্জোয়া বলে
গালি দিলো
আমি তাদেরকে শিকড়ের ১৮টা সুফল বোঝালাম
তারা তবুও মাথা নাড়তে নাড়তে চলে গেলো।
তারপর নামলো সন্ধ্যা। আমার মাথার উপর
মেঘে মেঘে
সাঁতার কাটছে চাঁদ। একটি হুতোম প্যাঁচা উড়ে এসে
বসেছে আমার কাঁধের উপর
তাকে ‘হুসসস’ করে উড়িয়ে দিতেই সে ভীষন
বিরক্ত চাহুনিতে
ঘাড় ঘুরিয়ে দেখলো আমাকে।
মোহন জ্যোৎস্নায় নেমে আসলো স্বর্গের অপ্সরীরা
তারা আপন মনে নৃত্য করছে উম্মুক্ত উপত্যকায়
তাবু থেকে লোকগুলো একে একে বেড়িয়ে এসেছে...
তারাও যোগ দিলো পরীদের উল্লাসে।
দূর থেকে খুব নিঃসঙ্গ মনে হলো নিজেকে আমার
আগ বাড়াতেই দেখি পা দুটো আটকে আছে
মাটির শিকড়ে
আমি ঈশ্বরকে খুঁজলাম, অন্ধকারে চারপাশে
তাকে কোথাও পেলাম না...