ঘুম নয়- মগ্নতার মত আড়ষ্ঠ হয়ে
কেবল শুয়ে থাকা-
পাশ ফিরে কোন নারীর ঘ্রান
গভীর নিঃশ্বাসে বুকে টেনে নেওয়ার
তৃপ্তি নেই; কোজাগরী রাত ঢুকে পরে
তাবুর ফাটলে!
ডাহুকের ডাকে চকিতে জেগে উঠে দেখি-
শিরস্ত্রাণ বিছানো পাশে,
বর্মটাও ক্লান্তিতে নিদ্রারত-
অনেক তরবারির ঘাঁইয়ে ঘাঁইয়ে
ত্রস্থ, মলিন।
উঠে আসলাম তাবুর বাহিরে-
চাঁদের আলোয় স্নানরত একটি খরগোশ
চেয়ে আছে; তার স্বচ্ছ চোখের মার্বেলে
নীল ফুল!
একখন্ড মেঘ কি দারুন বেগে ছুটে আসছে-
জ্বলজ্বলে হলুদ চাঁদটাকে ঢেকে দেবে বলে।
ঢেকে দেবে পৃথিবীর সমস্ত সুন্দর!
সম্মোহিতের মত একদৃষ্টে
চেয়ে চেয়ে দেখছি
মেঘের সন্ত্রাস।
মেঘের চেয়েও বড় মানুষের ত্রাস,
যদিও যোদ্ধা আমি
যোদ্ধাদের কাছে রক্তের কোন রঙ থাকে না…
পলিউসের রক্তের ছিটা শিখিয়েছে কাল-
বেদনার রং আসলে লাল।
তারপর থেকে মাথার ভেতরে..
বোধের ভেতরে..
প্রজ্জ্বলিত ক্ষোভের ভেতরে..
অবিরাম লাল আর লাল খেলা করছে!
আমি যেন এক থকথকে রক্তের পুকুরে
ডুবে যাচ্ছি ধীরে ধীরে..
আমার দূর্গমান শরীর..
আমার প্রশস্ত কাঁধ..
আমার কন্ঠ..
আমার দৃঢ়বন্ধ ঠোঁট..
আমার সুতীক্ষ্ম নাক..
ডুবে যেতে যেতে আমার বিস্ফোরিত
চোখ জোড়া..
সঘন আতংকে নীল।
খরগোশের চোখের ভেতরে
খেলা করে সেই নীল
যেন অনাবিল রাত্রির ছায়ায়
দুটি স্বচ্ছ চোখ ভেসে যায়
আমি তার থেকে দৃষ্টি ফেরাতে পারি না।
আমি চেয়ে থাকি-
যেভাবে খরগোস চেয়ে আছে
সেও কি আমার চোখে দেখেছিল
কোন নীল ফুল?
দেখেছিল কোন রাত্রির ছায়া?
দেখেছিল বেদনার রং লাল?